GASB
Code of Ethics
Quality Control System
Compliance Audit Guideline
Performance Audit Guideline
Financial Audit Guideline
নিরীক্ষা পদ্ধতি বলেতে কি বুঝ
নিরীক্ষা পদ্ধতির প্রধান
ধাপগুলো:
1. পরিকল্পনা (Planning):
- নিরীক্ষার
উদ্দেশ্য এবং পরিধি নির্ধারণ।
- ঝুঁকি
মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ।
2. ডকুমেন্টেশন সংগ্রহ ও পর্যালোচনা:
- প্রতিষ্ঠানের
আর্থিক বিবরণী, চুক্তি, চালান,
খতিয়ান ইত্যাদি যাচাই করা।
- সংশ্লিষ্ট
নথিপত্র বিশ্লেষণ।
3. নিরীক্ষার কার্যক্রম:
- প্রতিষ্ঠানের
আর্থিক লেনদেন এবং হিসাবপত্র যাচাই।
- অভ্যন্তরীণ
নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা মূল্যায়ন।
- যেকোনো
অনিয়ম বা জালিয়াতি চিহ্নিত করা।
4. প্রমাণ সংগ্রহ (Evidence
Collection):
- নিরীক্ষার
জন্য পর্যাপ্ত এবং প্রাসঙ্গিক প্রমাণ সংগ্রহ করা।
5. প্রতিবেদন প্রস্তুতি (Reporting):
- নিরীক্ষার
ফলাফল ও পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট আকারে উপস্থাপন করা।
6. পর্যালোচনা ও সুপারিশ (Review
and Recommendations):
- প্রতিষ্ঠানের
কার্যক্রমে উন্নতির জন্য সুপারিশ প্রদান।
নিরীক্ষা পদ্ধতি মূলত
প্রতিষ্ঠানের আস্থা বৃদ্ধি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োগ করা হয়। এটি
অভ্যন্তরীণ এবং বহিরাগত উভয় ক্ষেত্রেই হতে পারে।
Quantitative এবং Qualitative Audit Risk
Quantitative এবং Qualitative Audit Risk নিরীক্ষা ঝুঁকির ধরন নয়, বরং এগুলো ঝুঁকিকে মূল্যায়ন করার দুটি ভিন্ন পদ্ধতি। অর্থাৎ, এগুলো নিরীক্ষা ঝুঁকির ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিশ্লেষণ পদ্ধতি।
নিরীক্ষা ঝুঁকির মূল তিনটি প্রকার হলো:
Inherent Risk (IR)
Control Risk (CR)
Detection Risk (DR)
এই ঝুঁকিগুলোকে পর্যালোচনা এবং মূল্যায়ন করার জন্য নিরীক্ষক দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন:
Quantitative Approach এবং Qualitative Approach।
পেশাদার সন্দেহবাদ (Professional Skepticism)
পেশাদার সন্দেহবাদ (Professional Skepticism)
হলো এমন একটি মনোভাব বা দৃষ্টিভঙ্গি যা
পেশাদার ব্যক্তিদের (বিশেষত নিরীক্ষক এবং নিরীক্ষা সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের) তাদের
কাজের সময় একটি প্রশ্নবোধক মনোভাব বজায় রাখতে এবং প্রমাণের সমালোচনামূলক
মূল্যায়ন করতে উৎসাহিত করে।
এর বাংলা ব্যাখ্যা:
পেশাদার সন্দেহবাদ হলো এমন একটি মানসিকতা যা সন্দেহ পোষণের মাধ্যমে নিরীক্ষক বা
অন্য পেশাদারদের উৎসাহিত করে তথ্য,
প্রমাণ এবং দাবি নিয়ে সতর্ক, বিশ্লেষণাত্মক
ও নিরপেক্ষ থাকার। এটি ব্যক্তিগত পক্ষপাত বা প্রাথমিক অনুমানের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত
গ্রহণ না করার এবং পর্যাপ্ত ও যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপর জোর
দেয়।
মূল
উপাদানসমূহ:
- প্রশ্নবোধক মনোভাব: সবসময় তথ্যের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন করা।
- সমালোচনামূলক মূল্যায়ন: প্রমাণ এবং তত্ত্বকে বিশ্লেষণ করে যাচাই করা।
- সতর্কতা: প্রতারণা বা ভুল তথ্যের সম্ভাবনা বিবেচনা করা।
উদাহরণ:
একজন নিরীক্ষক যখন একটি প্রতিষ্ঠানের
আর্থিক বিবৃতি যাচাই করেন, তখন তারা নিশ্চিত হন যে আর্থিক তথ্য সঠিক এবং নির্ভুল প্রমাণ
দ্বারা সমর্থিত। কোনো অসঙ্গতি থাকলে সেটি অনুসন্ধানের জন্য বিস্তারিত পরীক্ষা
করেন।
এই পদ্ধতি পেশাদারদের নিরপেক্ষতা বজায়
রাখতে এবং বিশ্বাসযোগ্য সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
বাংলাদেশে সরকারি অডিটের ক্ষেত্রে কর্পোরেশন বলতে বোঝায় এমন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা, যা একটি স্বতন্ত্র আইনি সত্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং সরকারি মালিকানাধীন বা সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। এই ধরনের কর্পোরেশনগুলোর প্রধান কাজ হলো বিভিন্ন শিল্প, বাণিজ্যিক বা সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা। সরকারি অডিটের ক্ষেত্রে এসব কর্পোরেশনের আর্থিক কার্যক্রম, স্বচ্ছতা, এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সরকারি অডিটের জন্য কর্পোরেশন:
বাংলাদেশে বিভিন্ন সরকারি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেগুলো সরকারের পক্ষ থেকে শিল্প, সেবা, বা বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এগুলো সাধারণত সংসদীয় নিয়ন্ত্রণে থাকা অডিট বিভাগ (Office of the Comptroller and Auditor General of Bangladesh - CAG) দ্বারা নিরীক্ষিত হয়।
সরকারি অডিটের ক্ষেত্রে কর্পোরেশনের বৈশিষ্ট্য:
- আইনগত সত্তা: প্রতিটি সরকারি কর্পোরেশন একটি পৃথক আইন বা অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়।
- সরকারি মালিকানা: কর্পোরেশনগুলো আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে সরকারি মালিকানাধীন।
- স্বায়ত্তশাসন: অনেক কর্পোরেশন পরিচালনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বাধীনতা ভোগ করলেও, সেগুলো নির্ধারিত নীতিমালার অধীনে পরিচালিত হয়।
- অডিটের বাধ্যবাধকতা: সরকারি কর্পোরেশনগুলোর আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সরকার কর্তৃক অডিটের আওতাভুক্ত।
- জনস্বার্থে কাজ: কর্পোরেশনগুলো সাধারণত জনস্বার্থে সেবা প্রদান বা অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।
সরকারি অডিটের মাধ্যমে কর্পোরেশন পর্যবেক্ষণ:
বাংলাদেশে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (CAG) সরকারি কর্পোরেশনগুলোর অডিট পরিচালনা করে। এর মাধ্যমে কর্পোরেশনগুলোর:
- আর্থিক কার্যক্রমের যথার্থতা যাচাই।
- দুর্নীতি বা অনিয়মের অনুসন্ধান।
- সরকারি তহবিল ব্যবহারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
- নীতিমালার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করা হয়।
বাংলাদেশে সরকারি কর্পোরেশনের উদাহরণ:
- বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (BPC)
- বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (BPDB)
- বাংলাদেশ জাহাজ চলাচল কর্পোরেশন (BSC)
- বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (BADC)
- বাংলাদেশ রেলওয়ে (আংশিকভাবে কর্পোরেট প্রকৃতি ধারণ করে)।
সরকারি অডিটের গুরুত্ব:
সরকারি অডিটের মাধ্যমে কর্পোরেশনগুলোর:
- অর্থের অপচয় রোধ।
- স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি।
- প্রশাসনিক সুশাসন নিশ্চিত করা।
এগুলো নিশ্চিত করতে অডিট রিপোর্ট সংসদীয় কমিটিতে উপস্থাপন করা হয় এবং সেখানে পর্যালোচনা করা হয়।
মাধ্যমে গঠন করা হয় এবং নির্দিষ্ট জনস্বার্থে কাজ করে। এ ধরনের কোম্পানিগুলো সাধারণত সরকারের অধীনস্থ থাকে এবং জনসেবা বা গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়। এদের কাজের প্রধান লক্ষ্য মুনাফা অর্জন না করে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা।
বাংলায়, Statutory Public Authority Company কে বলা হয় আইনগত সরকারি কর্তৃপক্ষ কোম্পানি। এই ধরনের কোম্পানিগুলোর উদাহরণ হতে পারে:
- বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (BWDB)
- বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (BPDB)
- বাংলাদেশ রেলওয়ে
বৈশিষ্ট্য:
- আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়।
- স্বাধীন ব্যবস্থাপনা কাঠামো থাকে।
- সরকারের কাছ থেকে তহবিল পায়।
- জনসেবা বা গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প পরিচালনা করে।
- তাদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকে। অন্য ভাবেও বলা যেতে পারে, Statutory Public Authority Company বলতে বোঝায় এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা বিশেষ কোনো আইন বা অধ্যাদেশের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। এ ধরনের কোম্পানিগুলোর প্রধান উদ্দেশ্য জনগণের কল্যাণে সেবা প্রদান করা এবং সরকারি নীতিমালা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা। এগুলো সাধারণত লাভজনক ব্যবসার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় না; বরং জনসেবা ও উন্নয়নমূলক কাজ পরিচালনার জন্য গঠিত হয়।
বাংলায় সংজ্ঞা:
আইনগত সরকারি কর্তৃপক্ষ কোম্পানি এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ আইন বা অধ্যাদেশ দ্বারা গঠিত হয় এবং যার প্রধান কাজ জনস্বার্থে নির্ধারিত কার্যক্রম পরিচালনা করা।
বৈশিষ্ট্য:
- আইনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা: এই প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ আইন বা অধ্যাদেশের মাধ্যমে গঠিত হয়।
- সরকারি মালিকানা বা তত্ত্বাবধান: এগুলো সরকারি মালিকানাধীন অথবা সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
- জনসেবা মূল লক্ষ্য: মুনাফার লক্ষ্য নয়, বরং জনগণের জন্য সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে কাজ করে।
- স্বায়ত্তশাসিত কাঠামো: কিছু সীমিত পরিসরে স্বাধীনতা থাকে, তবে সরকার এর উপর নজরদারি করে।
- নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত: এর কার্যক্রম সরাসরি সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
উদাহরণ:
বাংলাদেশে কয়েকটি Statutory Public Authority Company-এর উদাহরণ হলো:
- বাংলাদেশ রেলওয়ে
- বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (BPDB)
- বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (BWDB)
- বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (BTRC)
- HOW MANY KINDS OF OUTPUT IN STRATEGIC PLAN
নিচে আর্থিক নিরীক্ষার (Financial Audit) জন্য ব্যবহৃত কিছু সাধারণ পদ্ধতি (Methodology) এবং টুলসের (Tools) উদাহরণ দেওয়া হলো।
পদ্ধতি (Methodology):
১. পরিকল্পনা ও ঝুঁকি মূল্যায়ন (Planning and Risk Assessment):
- আর্থিক নথি বিশ্লেষণ ও ঝুঁকি চিহ্নিত করা।
- ক্লায়েন্টের ব্যবসার কার্যক্রম, নীতি, এবং ঝুঁকির ক্ষেত্রগুলো বুঝে পরিকল্পনা তৈরি।
২. ডকুমেন্টেশন রিভিউ (Documentation Review):
- আর্থিক বিবরণী (Financial Statements), লেনদেনের রেকর্ড, এবং হিসাবপত্র পর্যালোচনা।
- আইনি ও নীতিগত মেনে চলার বিষয় নিশ্চিত করা।
নমুনা পরীক্ষা (Sampling):
- লেনদেনের ছোট নমুনা যাচাই করে বড় আকারের ডেটার সঠিকতা অনুমান করা।
অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষা (Internal Control Testing):
- প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং সেগুলো কার্যকর কিনা তা যাচাই।
ডেটা বিশ্লেষণ (Data Analysis):
- আর্থিক ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে অস্বাভাবিকতা এবং ত্রুটি চিহ্নিত করা।
পরীক্ষা ও যাচাইকরণ (Substantive Testing):
- বিশেষ কিছু লেনদেন বা অ্যাকাউন্ট ডিটেইল পরীক্ষা করা।
রিপোর্টিং (Reporting):
- নিরীক্ষার ফলাফল ও পর্যবেক্ষণ একটি নিরীক্ষা রিপোর্ট আকারে উপস্থাপন করা।
টুলস (Tools):
১. অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার (Accounting Software):
- যেমন: Tally, QuickBooks, SAP।
এগুলো লেনদেনের ডেটা রেকর্ড ও বিশ্লেষণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
২. ডেটা অ্যানালিটিক্স টুলস (Data Analytics Tools):
- ACL, IDEA, Tableau।
ডেটার প্যাটার্ন ও অস্বাভাবিকতা চিহ্নিত করতে সহায়ক।
স্প্রেডশিট অ্যাপ্লিকেশন (Spreadsheet Applications):
- Microsoft Excel, Google Sheets।
বিশ্লেষণ এবং নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রচুর ব্যবহৃত হয়।
- Microsoft Excel, Google Sheets।
ডকুমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (Document Management System):
- যেমন: SharePoint, DocuWare।
নথি সংরক্ষণ ও ট্র্যাকিংয়ের জন্য ব্যবহৃত।
- যেমন: SharePoint, DocuWare।
ইআরপি সিস্টেম (ERP Systems):
- যেমন: Oracle ERP, SAP ERP।
বড় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক তথ্য ম্যানেজমেন্ট সহজ করার জন্য ব্যবহৃত।
- যেমন: Oracle ERP, SAP ERP।
ঝুঁকি মূল্যায়ন টুলস (Risk Assessment Tools):
- যেমন: Protiviti Risk Management।
ঝুঁকি চিহ্নিত ও পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহৃত।
- যেমন: Protiviti Risk Management।
অডিট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার (Audit Management Software):
- যেমন: TeamMate, AuditBoard।
নিরীক্ষা কার্যক্রম সঠিকভাবে সংগঠিত এবং পরিচালিত করতে ব্যবহৃত।
- যেমন: TeamMate, AuditBoard।
এই পদ্ধতি ও টুলস ব্যবহার করে আর্থিক নিরীক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা সম্ভব।
সাবস্ট্যানটিভ প্রোসিডিউরস (Substantive Procedures) হলো আর্থিক অডিটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা অডিটররা ব্যবহার করেন একটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিবরণীর সঠিকতা, সম্পূর্ণতা এবং নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করার জন্য। এটি সেই অডিট পদ্ধতিগুলোর সমষ্টি যা সরাসরি তথ্য যাচাই করে নিশ্চিত করে যে আর্থিক বিবরণীগুলি কোনও গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি বা ভুল তথ্য ছাড়াই সঠিকভাবে প্রস্তুত হয়েছে।
সাবস্ট্যানটিভ প্রোসিডিউরসের সংজ্ঞা:
"সাবস্ট্যানটিভ প্রোসিডিউরস হলো অডিট কার্যক্রমের একটি ধাপ যেখানে অডিটররা আর্থিক বিবরণীর অ্যাকাউন্ট এবং লেনদেন যাচাই করার জন্য বিশ্লেষণাত্মক কার্যক্রম এবং বিস্তারিত পরীক্ষামূলক পদ্ধতি প্রয়োগ করেন।"
সাবস্ট্যানটিভ প্রোসিডিউরসের ধরণ:
সাবস্ট্যানটিভ প্রোসিডিউরস দুই ধরনের হতে পারে:
১. বিশ্লেষণাত্মক পদ্ধতি (Analytical Procedures):
- অডিটররা আর্থিক তথ্যের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং প্রবণতা (trends) বিশ্লেষণ করেন।
- উদাহরণস্বরূপ: বিক্রয় আয়ের প্রবৃদ্ধি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের প্রবৃদ্ধি তুলনা করা।
- লক্ষ্য: অস্বাভাবিক বা অসঙ্গতিপূর্ণ ত্রুটিগুলি চিহ্নিত করা।
২. বিস্তারিত পরীক্ষামূলক পদ্ধতি (Test of Details):
- আর্থিক বিবরণীর নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স বা লেনদেনের পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা।
- উদাহরণস্বরূপ: ব্যাংক স্টেটমেন্ট যাচাই করা, রসিদ পরীক্ষা করা, এবং সম্পদের অস্তিত্ব যাচাই করা।
- লক্ষ্য: নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট বা লেনদেনের নির্ভুলতা নিশ্চিত করা।
সাবস্ট্যানটিভ প্রোসিডিউরসের লক্ষ্য:
- ত্রুটির সনাক্তকরণ: আর্থিক বিবরণীতে গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি বা প্রতারণা চিহ্নিত করা।
- সম্পূর্ণতা যাচাই: আর্থিক বিবরণীতে সব প্রাসঙ্গিক লেনদেন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কি না তা যাচাই করা।
- মূল্যায়নের নির্ভুলতা: সম্পদ, দায়, আয় এবং ব্যয়ের সঠিক পরিমাণ রেকর্ড হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করা।
- অস্তিত্ব যাচাই: আর্থিক বিবরণীতে প্রদর্শিত সম্পদ ও দায়ের প্রকৃত অস্তিত্ব আছে কি না তা নিশ্চিত করা।
উদাহরণ:
- ব্যাংক রিকনসিলিয়েশন যাচাই করা।
- গ্রাহকের কাছ থেকে প্রাপ্তি যাচাই করা।
- ভেন্ডরের চালান এবং পেমেন্টের সঙ্গতি পরীক্ষা করা।
- স্টক ইনভেন্টরি ফিজিক্যালি কাউন্ট করা।
সাবস্ট্যানটিভ প্রোসিডিউরসের গুরুত্ব:
- আর্থিক বিবরণীর নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করা।
- অডিট ঝুঁকি হ্রাস করা।
- ত্রুটি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
সুতরাং, সাবস্ট্যানটিভ প্রোসিডিউরস অডিট প্রক্রিয়ার একটি অপরিহার্য অংশ, যা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিবরণী সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য কিনা তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
No comments:
Post a Comment